মন বসেনা শহরে Notebook

“মন বসেনা শহরে”

একটি ছোট গ্রামের একটি ছেলে ছিলো নিত্যদিনে গল্পের পাগল। তার সবচেয়ে প্রিয় গল্পটি ছিলো “মন বসেনা শহরে”।

গল্পটিতে এক যুবকের অনুভূতির মধ্যে একটি দিনলো। তিনি যাচ্ছিলেন শহরে, যেখানে সবই অজানা ছিলো, নতুন ছিলো, পরিচিতির একটা বিশ্বে আবার হারিয়ে যেতে চলেছিলো। সে ছিলো আমাদের প্রকৃত অভ্যন্তরীণ প্রজাপতি, যে চাঁদের পুরে পুরো জীবনের প্রথম বার পানির ঝরঝরে শব্দের মাঝে স্নান করেছিলো।

একদিন শহরে যাওয়ার পথে সে দেখে, সে ছিলো কিশোরী রুপে, অচেনা দিকে হাঁটছিলো, সুন্দর মিছিলের মধ্যে হেরে যাচ্ছিলো। তার সঙ্গে আছে তার প্রিয় নোটবই, “মন বসেনা শহরে”। তার মাথায় পরান থেকে দুরন্ত সমৃদ্ধির ক্ষুধা থাকতে থাকতে তার মন ভরে উঠে।

পরে সে প্রথম দেখে বাজারের কান্না, শহরের সারাদিনের ধাঁধা ও প্রস্তুতি দেখে। কিন্তু তার মনের আলো দেখে সে অন্ধকারের মধ্যে আলো সন্ধান করতে থাকে। সে জানতে চাইতেছে, শহরে থাকলে মন আর বসে না কেন?

এই গল্পটির সাথে তারা যাত্রা শুরু করে, নতুন অভিজ্ঞতা এবং অদৃশ্য মানুষের সঙ্গে পরিচয় করে। এবং শেষে, তারা দেখে, মন সত্যিই শহরে বসেছে। এই শহরের উদ্দীপনা এবং মানুষের ভাবনার প্রতি তার অনুরাগ আরো বৃদ্ধি করে নিয়েছে।

গল্পটির শেষে, ছেলেটি ফিরে এসে তার গ্রামের পুরাতন পালানকে চেয়ে দেখে, মন এখন পুনরায় শহরে বসে না। মনে বলে, “আমি আমার প্রিয় গ্রামেই আমার বসতি হিসেবে স্থির হতে চাই। আমি এই পুরাতন পালানটিতে নিরন্তর মনে ভরে বসে আছি।”